অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আজ (১০ মে ২০২৫) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলীয় পর্যায়ে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক ও সংগঠনগত কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
- বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাস, তথ্য-প্রচারণা ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড রোধে আইনগত পদক্ষেপ অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়েছে ।
- সাম্প্রতিক ‘জুলাই আন্দোলন’–এ অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা রক্ষাসহ দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা আনার প্রয়োজনীয়তা উপদেষ্টা পরিষদে তুলেছিলেন মূখ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সমাজে প্রবলভাবে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী গণহত্যার পরও অপরাধবোধের অনুপস্থিতি, ছাত্র–জনতার ওপর হামলা ও চরম উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো বিবেচনা করে এই দাবি আরও সোচ্চার হয়েছে।”
- “আইনগতভাবে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করার বিধান আমাদের দেশে যথেষ্ট রয়েছে; প্রয়োজনে সংশোধনীও আনা হবে।”
- আওয়ামী লীগের সাইবার স্পেসসহ সব ধরণের কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী বন্ধ থাকবে।
- জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে ।
- নির্বাহী আদেশ (প্রজ্ঞাপন) এবং সংশ্লিষ্ট পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে
- বিভিন্ন বিরোধী দল, শিক্ষার্থী সংগঠন ও সামাজিক আন্দোলনকারীরা ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও শাহবাগ মোড় ব্লকেড শুরু করেছে ।
- বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী জোটের নেতা–কর্মীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে প্রজ্ঞাপন জারির ত্বরান্বয়ে জোর দিয়েছে ।
- আওয়ামী লীগ সতর্ক করে দিয়েছে, আইনগত প্রক্রিয়া মেনে তারা আপিল বা অন্য ভ্যাকিউমারি পদক্ষেপ নিতে পারে।
এ মূল্যায়নাধীন সিদ্ধান্ত আগামী কয়েক সপ্তাহে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অগ্রসর বা উত্তেজনাপূর্ণ—কোন পথে নিয়ে যাবে, তা সংশ্লিষ্ট পক্ষের করণীয় এবং জনগণের সাড়া–দেনার উপর নির্ভর করবে। বিনা বাধায় বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে, যা বাংলাদেশের বিচার ও সংবিধানশাসনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।
Leave a Reply